গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাধ্য়মিক পরীক্ষা। অন্যান্য বারের মতো এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও উঠেছে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ। মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই বিতর্ক এড়াতে তত্পর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
গত সোমবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকে মাথায় রেখে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও সেন্টার ইন চার্জদের উদ্যেশে একটি নির্দেশিকা জারি করে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতে টোকাটুকি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে বেশকিছু কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এবং এই নির্দেশ গুলি না মানলে শিক্ষক তথা সেই স্কুলের বিরুদ্ধে করা পদক্ষেপ নেওয়ার হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
সংসদ দ্বারা জারি করা নির্দেশিকা তে জানানো হয়েছে ২০২৩ এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীই নয় পরীক্ষক তথা শিক্ষক-শিক্ষিকারাও মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেনা। এই বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় যে, যে পরীক্ষাকক্ষে যে বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে, সেই পরীক্ষাকক্ষে সেই বিষয়ের শিক্ষক যেতে পারবেনা। এছাড়া পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনো পরীক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
DA বৃদ্ধি নিয়ে নতুন দাবি, ৬ এর বদলে ৯ শতাংশ হারে DA এর দাবি রাখলো সরকারি কর্মচারীরা।
তবে এবিষয়ে পরিক্ষার্থীদের জন্যেও বেশকিছু নির্দেশিকা জারি করেছে সংসদ। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে কাউকে টয়লেট যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং এক ঘন্টার পরে গেলেও পরীক্ষার্থীকে তার প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র এবং পেন পরীক্ষাকক্ষেই রেখে যেতে হবে। এছাড়া কোনও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, টুকলি ও টোকাটুকি করার অভিযোগ ওঠে তাহলে সেই পরীক্ষার্থী তথা তার স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও নেওয়া যেতে পারে।
এছাড়া সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় ২৩৫টি পরীক্ষাকেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স গেজেটকে ধরার জন্য মেটাল ডিটেক্টর বসানো হবে।