পেট্রোল-ডিজেলের দাম ছাড়িয়েছে ১০০ টাকার সীমা, এমনকি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ১১০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল। অন্যদিকে ডিজেলের দামও ছুঁয়েছে ১০০ টাকার সীমা। এমন পরিস্থিতিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের ইন্ধন খরচা বেড়েছে তেমন অন্যদিকে পরিবহনের খরচা বাড়ার কারণে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। এই পরিস্থিতে দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির (GST) আওয়তায় আনার পরামর্শ দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটি কর ব্যাবস্থার অন্তর্গত আনলে কমতে পারে এর দাম।
এই প্রসঙ্গেই বড়ো পদক্ষেপ নিতে পারে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত বুধবার জানান যে, একবার রাজ্য গুলি সম্মত হলেই পেট্রোল এবং ডিজেলের ওপর লাগতে পারে জিএসটি। পেট্রোল-ডিজেল একবার জিএসটি-র আওতায় চলে এলে এর দাম নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি দ্বারা আয়োজিত একটি অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় আনার কথা জানান। তিনি আরো জানান যে কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলিকে GST-এর আওতায় আনতে প্রস্তুত তবে রাজ্য গুলির সম্মতির পরেই জিএসটি কাউন্সিল পেট্রোল এবং ডিজেলের ওপর জিএসটি লগু করতে পারবে।
অনেকদিন ধরেই শিল্পমহলে উঠছে পেট্রোল-ডিজেলের ওপর জিএসটি লগু করার দাবি। বিশ্লেষকরা যুক্তি দেন যে পেট্রোল-ডিজেলের ওপর জিএসটি লগু করলে মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণের সুবিধা পাবে সরকার।
এপ্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দেশে সর্বপ্রথম ১লা জুলাই ২০১৭ সালে জিএসটি কর লগু করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত পেট্রোল, ডিজেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলি জিএসটি আওতার বাইরে ছিল৷ পেট্রোল-ডিজেলে বর্তমানে ভ্যাট, Central Sales Tax এবং Central Excise Duty এর কর দিতে হয়।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে এই কর গুলির পরিবর্তে জিএসটি কর ব্যবস্থা চালু হলে কমতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। তবে এবিষয়ে পেট্রোল-ডিজেলের জিএসটি করের হার সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।