Cashew Farming Business Idea: আপনি কি এমন ব্যবসার সন্ধানে আছেন, যেখানে বাম্পার আয়ের পাশাপাশি লোকসান হবার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম আছে! আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা এমনই একটি চাষবাস সম্পর্কিত ব্যবসায়িক ধারণা (Farming Business Idea) তুলে ধরতে চলেছি।
আজ আমরা একটি খুবই লাভজনক চাষ, কাজু বাদাম চাষ ব্যাবসা সম্পর্কে আপনাকে জানাবো। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা প্রতিটি মৌসুমেই বাজারে এর চাহিদা সমান থাকে। শুধু তাই নয়, আট থেকে আশি সকলেই কাজু খেতে পছন্দ করে। এককথায় বাজারে এর চাহিদা সবসময়ই প্রবল থাকে। তাই এর চাষ করে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।
বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কৃষকরা ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদের পাশাপাশি এখন বিভিন্ন লাভজনক ফসল চাষ করার দিকে জোর দিচ্ছে। কাজু বাদামের চাষ এরকমই একটি লাভজনক চাষের মধ্যে পরে।
ভারতের মধ্যে প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, কেরালা, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে
কাজু চাষ হয়। কাজু গাছ উষ্ণ তাপমাত্রায় ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। 20 থেকে 35 ডিগ্রি তাপমাত্রা কাজু চাষের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। তাছাড়া যে কোন ধরনের মাটিতেই এর চাষ করা যায়। এই গাছের দৈর্ঘ্য মূলত 15 মিটার বা তার থেকে একটু বেশি হয়। একবার খরচ কাজু গাছ লাগালে তা থেকে বহু বছর ফল পাওয়া যায়। আর গাছ লাগানোর 3 বছর পর থেকেই গাছে ফল আসতে শুরু হয়ে যায়।
কাজু চাষ ব্যাবসা থেকে কত আয় করা সম্ভব?
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এক হেক্টর জমিতে প্রায় 500 কাজু গাছ লাগানো যায়। আর শুধু গাছ লাগানোর সময়ই একটা বড়ো খরচ করতে হয়। একটি কাজু গাছ থেকে সহজেই 20 কেজি কাজু বাদাম পাওয়া যায়। অর্থাৎ এক হেক্টরে প্রায় 10 টন কাজুবাদাম উৎপাদন হয়। আজকের দিনে 1200 টাকা প্রতি কেজি দরে বাজারে কাজু বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায় আপনি এক হেক্টর জমি থেকে সহজেই (10000×1200) = 1.2 কোটি টাকা মুনাফা (চাষ এবং প্রক্রিয়াকরণের খরচ বাদ না দিলে) অর্জন করতে পারবেন। এভাবেই প্রচুর সংখ্যক কাজু চারা রোপণ করে চাষ করলে আপনি খুব সহজেই কোটিপতি হয়ে উঠবেন।