টমেটোর পর, এবার বাজার কাঁপাচ্ছে পেঁয়াজ। উৎসব মরসুমে পেঁয়াজের দাম পৌঁছেছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে, উৎসবের মরসুমে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা থেকে লাফ দিয়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পৌঁছেছে পেঁয়াজের মূল্য।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে নাজেহাল দেশের সাধারণ বর্গের মানুষ। তবে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিয়েছে। উৎসবের মরসুমে জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজ সরবরাহ করে দোয়ার জন্য মোদী সরকার সম্প্রতি ২৫ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করতে শুরু করেছে।
কেন্দ্র সরকার বাফার স্টকের সাহায্যে প্রতি কেজি ২৫ টাকার মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। এই সুবিধাটি জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য, ১৭০টিরও বেশি শহরের মার্কেটপ্লেস এবং ৬৮৫টি কেন্দ্রে পেঁয়াজ বিক্রির স্টল স্থাপন করা হয়েছে। এ জন্য আলাদাভাবে দুই লাখ টন পেঁয়াজ কেনা হয়েছে। এই স্থানগুলি থেকে গ্রাহকরা সস্তায় পেঁয়াজ পেঁয়াজ কিনতে পারবে।
ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজ্যুমারস ফেডারেশন (NCCF) দ্বারা ছাড় দেওয়া পেঁয়াজ এখন দিল্লি-এনসিআর, জয়পুর, লুধিয়ানা, বারাণসী, রোহতক এবং শ্রীনগরে ৭১টি স্থানে মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ভোপাল, ইন্দোর, ভুবনেশ্বর, হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরুতেও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই ধরণের মোবাইল ভ্যান ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে আগামী সপ্তাহে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং অন্ধ্র প্রদেশ থেকে তাজা পেঁয়াজ ফসলের প্রবর্তনের সাথে সাথে পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। তবে যদি কোনো কারণ বসত এমনটা না হয় তাহলে কেন্দ্র এবিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবে।
সম্প্রতি পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, ইতিমধ্যেই শহর কলকাতার বেশকিছু বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০০-র রেখা পার করেছে। তবে এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে এই রকম মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে কমদামে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে কিনা তা নিয়ে কোনো তথ্য পোয়া যায়নি।